মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে QUBEE-র পৃষ্ঠপোষকতায় নর্থ আলপাইন ক্লাব কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক 'যেমন দেখেছে বাংলাদেশ'-এ প্রকাশিত। প্রকাশকাল : মে  ২০১১।
————

‘দৃঢ় সংকল্প + অদম্য স্পৃহা + সহযোগিতা ও শুভেচ্ছা + টিমওয়ার্ক + চ্যালেঞ্জ জয় + অভিজ্ঞতা + সামর্থ্য = এভারেস্ট অভিযান’
না, এই ‘জটিল’ সমীকরণ কোনো গণিতবিদের তৈরি নয়, মাউন্ট এভারেস্টের দিকে রওনা হওয়ার দু মাস আগে শব্দের পর শব্দ যোগ করে মুসা ইব্রাহীম নিজেই সেটা সাজিয়েছিলেন। বাংলাভাষার সবচেয়ে বড়ো ব্লগ সামহোয়্যারইনে মাঝে মাঝেই লিখতেন মুসা, ইউনিকোডে লিপিবদ্ধ হতো তার স্বপ্নগুলো, বলা ভালো নিভৃতেই। তার সেই লেখাগুলো খুব যে পাঠক টেনেছিল, তা নয়। বরং প্রচ্ছন্ন এক হেলাফেলার সুর ছিল পাঠকের মন্তব্যমালায়। এরপর মাঝখানে ষাটটি দিন। ২০১০ সালের ২৪ মে তিরিশ বছরের তরুণটি উঠে গেলেন ২৯ হাজার ৩৫ ফুট উঁচুতে। পৃথিবী তার পায়ের নিচে। আর সামহোয়্যারইনে মুসার নিভৃত ব্লগটা তখন ব্লগারদের তীর্থ। সেই সঙ্গে দু মাস আগের আপাত জটিল সমীকরণটা দাঁড়ায় এইরকম—
‘দৃঢ় সংকল্প + অদম্য স্পৃহা + সহযোগিতা ও শুভেচ্ছা + টিমওয়ার্ক + চ্যালেঞ্জ জয় + অভিজ্ঞতা + সামর্থ্য = এভারেস্ট জয়!’

ব্লগমন্ডলে নতুন আগন্তুক
ব্লগ সবসময়ই ছুটে চলে সময়ের সঙ্গে, কখনও বা সময়েরও যেন আগে। সপ্রাণ এই দুরন্ত গতিই আসলে ব্লগের অক্সিজেন। পিলখানার গণহত্যা থেকে শেয়ারবাজারের ওঠানামা—ক্রিকেট থেকে ক্ষুদ্রঋণজাত রাগ—কোনো কিছুই খুব বেশি সময় ধরে ব্লগারদের আটকে রাখতে পারে না, কোনো কিছুই খুব বেশি সময় আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে না। কিন্তু মুসা ছিলেন, ভালোভাবেই ছিলেন ব্যতিক্রমী উদাহরণ হয়ে—প্রশস্তিতে, বিতর্কে, প্রাণবন্ত আলোচনায়। সত্যি বলতে কী, বিশেষ কাউকে নিয়ে এভাবে উৎসবে মেতে ওঠার উপল আর আসেনি বাংলাভাষী ব্লগমন্ডলে। সাধারণ ব্লগাররা তো বটেই, এভারেস্ট চূড়োয় লাল-সবুজ পতাকার অভিষেক আপ্লুত করেছিল সামহোয়্যারইন ব্লগের কর্নধার আরিল ক্লকারহগকেও। বাংলা অন্তঃপ্রাণ এই নরওয়েজিয়ান মানুষটি মন্তব্যে লিখেন : ‘অভিনন্দন মুসা ইব্রাহীম! you are my new hero! i am just thinking about young guys from my cold and mountainous country: Norway. they start skiing when they are 2 years old, they grow up with snow and cold weather. they start climbing small rocks on the way back home from their play group. when they grow up, they have access to all kind of equipment, experienced trainers and a solid rock climbing community. still, if anyone of them climb Everest, they easily become national heroes.’

যেন নিজেদেরই বিজয়!
সামহোয়্যারইন ব্লগে মুসাকে তাৎণিক অভিনন্দন জানিয়ে একটি লেখা স্টিকি করা হয়েছিল। তাতে ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য এসেছিল আড়াইশো। এরপর কম করে হলেও ব্লগারদের শতাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে মুসাকে নিয়ে। এভারেস্ট বিজয় নিয়ে আমার নিজেরই একটি ব্যাখ্যামূলক লেখা পঠিত হয়েছিল ১০ সহস্রাধিক বার। এ থেকেই বোঝা যায় মুসাকে নিয়ে কতোটা গভীর আগ্রহ ছিল ব্লগমন্ডলে। পিছিয়ে ছিল না বাংলাভাষার অন্য ব্লগগুলোও। দলমতনির্বিশেষে সব ব্লগেই ব্লগাররা মেতে উঠেছিলেন উচ্ছ্বাসে—এ যেন তাদের নিজেদেরই বিজয়।
ঘরের কাছের এভারেস্ট চিরকালের অতি চেনা হয়েও সবার কাছে একরকম অনাত্মীয়ের মতোই ছিল। চারদিক চোখ-কান খোলা রাখা ব্লগারের জ্ঞানও ছিল বড়জোর মলিনপ্রায় কেওকারাডং পর্যন্ত, জানাশোনার পথ ধরে আরেকটু হাঁটলে বড়জোর নাতিদীর্ঘ সাফা হাফলং। মুসার বিজয়ের পর নতুন করেই যেন ধরা দিল এভারেস্ট, নতুন করে চেনা গেল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু চূড়োটিকে। আর এই প্রথম আবিস্কার করা গেল পর্বতাভিযান নিয়ে ব্লগারদের মনে বিচিত্র সব জিজ্ঞাসা, অদ্ভূত সব প্রশ্নের পাহাড়। কাজেই বহুদিন ধরে চলল পর্বত অভিযান নিয়ে বিচিত্র সব আলোচনা—তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে সাধারণ বিষয় আশয়—পিরামিড শ্যাডোর আকার-প্রকার থেকে মুসার প্রাণ বাঁচানো ব্রেন্ডান ওমামানিও বাদ থাকেনি। অন্নপূর্ণার আঠারো হাজার ফুটের পর পুরোটাই বরফ কিনা, কোন্ পদ্ধতিতে মেলে পর্বতারোহণের সনদ কিংবা এভারেস্ট কেন ‘চমলাংমা’, এমনকি এভারেস্ট চূড়োয় ব্যাটারির চার্জ থাকে না কেন সেটা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা চললো ব্লগারদের মধ্যে। মজার ব্যাপার হল, এক ব্লগারের প্রশ্নের উত্তরও আবার আরেক ব্লগারই দিয়েছেন—এভাবে এগিয়ে গেছে বিতর্ক, সপ্রাণ আলোচনা। এই করে করে বাঙালি ব্লগার নাম-ধাম-মাপেই কেবল এভারেস্ট চেনেনি, চিনেছে একেবারে জিপিএস লংগিচ্যুডসহই।
এমনিতে পাহাড়ের উচ্চতা দেখে হা-হুতাশ করা জাতি আমরা। ফলে মুসার বিজয় নিয়েও সন্দিহান থাকতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে, বাঙালির চিরকেলে স্বভাব। এমনকি কূপমন্ডুক সতীর্থ অভিযাত্রীদের পৌরহিত্যে খানিকটা নোংরামিও ছুঁতে চেষ্টা করেছিল মুসার বিজয়কে। ডাঙ্গায় বসে মুসাকে এভারেস্ট থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও কম চলেনি। বলাবাহুল্য, সশরীরে না থেকেও দিনশেষে মুসা সেখানেও বিজয়ী।

হয়ে আশার প্রদীপ
ব্লগ যদিও সিরিয়াস আলোচনার জায়গা, তবে মাঝে মাঝে সেখানেও ঘটে অদ্ভূত সব কাণ্ডকারখানা। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই এক ব্লগার লিখে বসলেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চান। যাপিত জীবন নিয়ে ভুগছেন চরম হতাশায়। আতঙ্কিত হওয়ার কথাই। সেই আতঙ্ক থেকে সহ-ব্লগারদের অনেকে তাকে নানান আশার বাণী শোনালেন। কেউ কেউ জোগালেন সান্ত্বনা। শেষে এক ব্লগার লিখলেন—‘যে দেশে মূসা ইব্রাহীমের মতো তরুণ কারো সাহায্য ছাড়াই এভারেস্ট জয় করে আসতে পারে, সেই দেশের তরুণ হয়ে আপনি কেন কাপুরুষতার পথে হেঁটে আত্মহনন করবেন?’ আত্মহত্যাপ্রবণ সেই ব্লগার মন্তব্যের জবাব দেননি, হতে পারে লজ্জায়, তবে এর চেয়ে ভালো জবাবও কি আর হয়? হোক বা না হোক, মুসা কিন্তু হয়ে উঠেছেন জীবন্ত উদাহরণ, তারুণ্যের কাছে আশার প্রদীপ। ছোট্ট এক মন্তব্যে এক ব্লগারের আশাবাদ, মনে পড়ে এখনও—‘বাংলাদেশ ভরে যাক মুসার মতো ‘কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হওয়া’ ছেলে এবং মেয়েতে।’

নিঃসঙ্গ শেরপা
ব্লগে বসলে লোডশেডিং, সড়কজুড়ে অসহনীয় যানজট, পথে-ফুটপাতে ক্ষুধার্ত মুখের সারি—এই যখন বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র—এভারেস্ট জয় সেখানে অসামান্য কোনো ঘটনা নয়। বরং সেটা একটি প্রেরণা—জয়ের জন্য অদম্য চেষ্টা চালানোর প্রেরণা। ক্ষুধা-দারিদ্র-সমস্যাকে রুখে দাঁড়ানোর সাহস। মুসার অর্জন আমাদের আশা দেয়। সমস্যাজর্জর এই দেশে এইটুকুন আশা জোগানোর মূল্য যে কতোটা, সেটা ঠিক এখনই বুঝে উঠতে পারবেন না অনেকেই, তবে নিশ্চিত একদিন! আমরা তো দেখেছি, যা করার মুসা একাই করেছেন। সবকিছুর জোগাড়যন্ত্র তো বটেই, এমনকি নিজের প্রাণটা বাজি রাখা পর্যন্ত। প্রিয় পরিবারকে রেখে মুসা যখন বেসক্যাম্পের পথ ধরেছেন, তখনও তিনি একাই—নিঃসঙ্গ শেরপা, পাশে ছিল না কেউই। কিন্তু লেগে থাকলে কোনোকিছুই অসম্ভব নয়—আগামী দিনের নাগরিকদের জন্য উদাহরণটি মুসা নিজে হাতেকলমে তৈরি করে দিয়েছেন। নিশ্চিত আমি, অসম্ভবকে সম্ভব করে মুসার এই অর্জনটুকু হতাশ তারুণ্যকে উদ্যমী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

এভারেস্ট বহু বছর ধরে ১৬ কোটি মানুষের দেশ থেকে বিশেষ কারো অপেক্ষায় ছিল। কে না জানে, সেই অপেক্ষার কালও ফুরিয়েছে। বলে তো দেওয়াই যায়—‘চূড়োকে বলো না একা, শীর্ষে তার মুসা ইব্রাহীম!’

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
সিংহ বনের রাজা। যার ভয়ে পশুপাখি একঘাটে জল পান করে। সেই সিংহ ধরা সহজ কোনো কাজ নয়। আবার কঠিনও কিছু নয়, যদি নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেন।

নিউটন পদ্ধতি
প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এই সূত্রটুকু মনে রাখলে সিংহ ধরা আপনার জন্য কঠিন কিছু নয়।

আইনস্টাইন পদ্ধতি
সিংহ যেদিকে অবস্থান করছে, তার ঠিক বিপরীত দিকে দৌড়াতে থাকুন। সিংহ যেহেতু সহজাত ক্ষিপ্রগতির অধিকারী, সুতরাং সিংহও দ্রুত দৌড়াবে এবং ক্লান্তও হবে তাড়াতাড়ি। এ সুযোগে এবার আপনার শিকার ধরার পালা।

সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদ্ধতি
প্রথমে একটি বিড়াল ধরুন। এরপর দাবি করুন, বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর আপনি প্রমাণ পেয়েছেন, ওটা আসলে একটি সিংহ। এরপর যদি কেউ ব্যাপারটা নিয়ে লেগেই থাকে, তাহলে তাকে জানিয়ে দিন যে বিড়ালটিকে আপনি সিংহ হিসেবে আপগ্রেড করবেন সামনে।

পুলিশ পদ্ধতি
যেকোনো একটি প্রাণী ধরে আনুন। এরপর সেটাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। জিজ্ঞাসাবাদে ততক্ষণ পর্যন্ত মারধর চালাতে থাকুন, যতক্ষণ ওই প্রাণী নিজেকে সিংহ হিসেবে স্বীকার করে না নেয়।

ঢাকাই সিনেমা পদ্ধতি
কে না জানে, এফডিসি হচ্ছে ঈশ্বর-প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতাশালী লোকদের মিলনকেন্দ্র। মানুষ থেকে সাপ ও সাপ থেকে মানুষে রূপান্তরিত হতে পারে—এমন দুজন মহামানব ও একজন কুংফু মাস্টার খুঁজে নিতে হবে। প্রথম দুজন সাপের বেশে বনে ঢুকে সিংহের মুখোমুখি দাঁড়াবে। কিঞ্চিৎ ধস্তাধস্তির পর সাপের দংশনে সিংহ অজ্ঞান হয়ে পড়বে ঠিক, তবে মরবে না। শেষ খেলা খেলতে আসমান থেকে একলাফে সিংহের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে সেই কুংফু মাস্টার। সিংহ-মানুষে লড়াইয়ের একপর্যায়ে হঠাৎ সিংহের মূত্রথলি থেকে একটি ক্যাসেটের কিছু ফিতা বেরিয়ে পড়বে। তা দেখে হতবাক হবে কুংফু মাস্টার। কারণ, তার পকেটেও যে একটি ক্যাসেটের কিছু ফিতা পরম যত্নে রাখা। লড়াই থামিয়ে সিংহ আর কুংফু মাস্টারের ফিতা জোড়া দিয়ে বাজানো হবে—ছোটবেলায় মা-বাবার গাওয়া অবিকল সেই গান। দুজনের চোখেই জল নামবে—এ যে আপন দুই ভাই! আজ থেকে ২০ বছর আগে দুই ভাই পৃথক হয়ে গিয়েছিল কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে, শুধু ছিল ক্যাসেটের ভাঙা দুটি অংশ। এই দৃশ্য দেখে অপেক্ষমাণ সর্পদ্বয় শেষ অস্ত্র আসমানি রশ্মি দিয়ে সিংহকে মেরে ফেলবে, সঙ্গে কুংফু মাস্টারকেও। অবশেষে জয় হবে সত্যের।

ডিপজল পদ্ধতি
সিংহকে স্রেফ সতর্ক করে দিন, যেকোনো সময় আপনি তাকে ধরতে পারেন। সতর্কবাণী শুনে আতঙ্কিত সিংহ ভয়েই মারা যাবে যথাশিগগির।

চিত্রপরিচালক পদ্ধতি
সিংহটিকে নিয়ে যান নেপাল কিংবা থাইল্যান্ডে। সেখানে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যসংবলিত মনোরম পরিবেশে ওটাকে মেরে ফেলুন।

আর্টফিল্ম পদ্ধতি
প্রথমে নিশ্চিত করুন, সিংহটি যেন সূর্যের আলো না পায়। সিংহটিকে একটি অন্ধকার কক্ষে রাখুন, একপাশে শুধু মোমবাতির মৃদু আলো জ্বলবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অথবা সিংহের কানের কাছে উঁচু লয়ে উচ্চাঙ্গসংগীত বাজবে। স্বাভাবিকভাবেই সিংহ প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং অচিরেই অসহ্য জ্বালা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবে।

প্যাকেজ নাটক পদ্ধতি
একটি সিংহীকে বনের ভেতরে পাঠান। সিংহ আর সিংহী দ্রুতই একে অপরের প্রেমে পড়বে। ঠিক তখনই আরও একটি সিংহীকে বনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিন, যা অন্য একটি সিংহের প্রেমে পড়বে। প্রথম সিংহ প্রথম সিংহীকে ভালোবাসে, দ্বিতীয় সিংহ দ্বিতীয় সিংহীকে। কিন্তু দ্বিতীয় সিংহী আবার দুটো সিংহকেই ভালোবেসে ফেলে। ঘটনার এ পর্যায়ে তৃতীয় আরেকটি সিংহীকে বনের ভেতরে পাঠান।...কী, আপনি কি কাহিনি বুঝতে পারছেন না? ঠিক আছে, ১৫ বছর পর এই অংশটুকু আবার পড়ুন, তখনো আপনি এই কাহিনি বুঝতে পারবেন না!

এনজিও পদ্ধতি
সিংহটিকে প্রথমে ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা করুন। এরপর সেটাকে ক্রমাগত পুষ্টিকর হরলিকস/ওভালটিন খাওয়াতে থাকুন, যতক্ষণ না সেটা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ে। এ ছাড়া সিংহকে ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহক/উপকারভোগী করার মাধ্যমেও ধীরে ধীরে মেরে ফেলা সম্ভব।

সরকারদলীয় পদ্ধতি
সুন্দরবনের সিংহকে টেকনাফের গ্রেনেড হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি করে ফেলুন। এরপর বড়জোর ১০ দফা রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হলে সিংহের বাঁচার খুব বেশি আশা থাকে না।

বিরোধীদলীয় পদ্ধতি
প্রথমে একটি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকুন। বিকেলের দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বনের ভেতরে ভাঙচুর শুরু করুন। ভাঙচুরের একপর্যায়ে সিংহকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলুন।

ছাত্রলীগ পদ্ধতি
ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপকে কায়দা করে বনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই রড-চাপাতি-কিরিচ-বল্লম নিয়ে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পুরো বনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। সাধারণ পশুপাখিরা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকবে। এর একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের বেধড়ক পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই সিংহ প্রাণ হারাবে। প্রাণহানির প্রতিবাদে যদিও দুই গ্রুপই বনের ভেতরে পৃথকভাবে মহড়া দেবে, তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

বারাক ওবামা পদ্ধতি
ওসামা বিন লাদেনের সহযোগী সাব্যস্ত করে সিংহটিকে প্রথমে পাকিস্তানে নিয়ে যান। পরে সেখানে ড্রোন হামলা চালিয়ে সিংহটিকে হত্যা করুন। 
 

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল : ২০-০৬-২০১১

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

বিজ্ঞানীরা বলেন, মহাবিশ্বে বিংব্যাং মহাবিস্ফোরণের পর অভ্যূদয় হয় পৃথিবীর। একসময় তৈরি হয় বায়ুমণ্ডল। এলো পানি। তারপর জীবন—উদ্ভিদ আর প্রাণিজগৎ। একসময় চারপেয়ে জীব নামলো মাটিতে। ওদিকে উল্কাপিণ্ডের আঘাতে ডাইনোসরসহ বহু জীব সমূলে বিনাশ হল। কতো কাণ্ড! আদিকালের আর্থবুক স্ক্যান করে পাঠকদের জন্য থাকলো তারই কিছু টুকরো খবর।


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
জীবন যে ফুলশয্যা নহে তার মীমাংসা হয়েছে আগেই। জীবন নিঃসন্দেহে দুঃখময়, আবার একে বোতলময় বললেও খুব একটা অত্যুক্তি হয় না। জীবনের পুরো চক্রটিই যেন বোতলে-বোতলে পূর্ণ। শৈশব শুরু হয় দুধের বোতল দিয়ে, কৈশোরে কোমল পানীয়র বোতল। যৌবন পার হয় কর্মক্ষেত্রে বসের গায়ে তেলের বোতল ঢেলে আর প্রসাধনী-রূপচর্চার বোতল খালি করে। আর শেষ বয়সের সঙ্গীও ওই বোতলই—কখনো স্যালাইনের, কখনো বা ওষুধের।


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  সামহোয়্যারইন ব্লগ
প্রকাশকাল :


[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
ভাইরাসসহ নানা সমস্যার কারণে হৃদয় অপারেটিং সিস্টেমের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে। অনভিজ্ঞতার কারণে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। হৃদয় হ্যাকিংয়ের ঘটনাও কি একেবারে কম? অন্যদিকে আবার ব্যবহারকারীর বিয়ের পর সফটওয়্যারটি অস্বাভাবিক ধীরগতির হয়ে যায়—এমন অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে সাময়িক সুফল পাওয়া যায় হয়তো, তবে পুরোপুরি নয়। এ জন্য দরকার ‘ভালোবাসা এক্সপি প্রফেশনাল’ সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণ। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম আর হৃদয় অপারেটিং সিস্টেমের পার্থক্য যেহেতু আকাশ-পাতাল, সে জন্য ‘ভালোবাসা’ ইনস্টল করা সহজ কোনো ব্যাপার নয়। অনেকের আবার আছে অহেতুক প্রযুক্তিভীতি। সব দিক ভেবে সাধারণের বোঝার উপযোগী করে হৃদয়ে ভালোবাসা ইনস্টল করার ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো।

ইনস্টল করুন বুঝে-শুনে
শুরুতেই বলে রাখা ভালো, ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে ভালোবাসা ইনস্টল করা যদিও সহজ, তবে তাতে ঝুঁকিও কম নয়। এ জন্য এ পদ্ধতি পরিহার করাই ভালো। আবার ডেটা কেবলের মাধ্যমে তাড়াহুড়ো করে ভালোবাসা ইনস্টল করাও ঠিক নয়। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরো হৃদয় অপারেটিং সিস্টেম হ্যাং হয়ে যায়। তাতে আপনার হার্ডড্রাইভ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়িয়ে ভালোবাসা ইনস্টল করুন ধাপে ধাপে, বুঝে-শুনে।

ভালোবাসা কী, কেন, কীভাবে
‘ভালোবাসা এক্সপি প্রফেশনাল’ একটি নির্ভরযোগ্য প্রোগ্রাম, এখন পর্যন্ত বিশ্বে যা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাজারে এ ধরনের বেশকিছু সফটওয়্যার (মাইক্রোসফট আবেগ ২০০০, এডবি অনুভূতি সিএস ইত্যাদি) প্রচলিত থাকলেও তার কোনোটিই মানসম্পন্ন নয়। প্রোগ্রামটি সাধারণত হৃদয় অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গেই বান্ডেল হিসেবে যুক্ত থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে সেটা নিঃশব্দে সচল থাকে। মনিটর কিংবা টুলবারে কখনোই প্রোগ্রামটিকে সরাসরি কিংবা শর্টকাট হিসেবে দেখতে পাবেন না। কিন্তু আপনার অপারেটিং সিস্টেমে থাকা প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই এর প্রভাব থাকে। ভালোবাসা এক্সপি প্রফেশনাল আপনার পুরো স্মৃতি সার্চ করে ‘ঘেন্না.com’, ‘তিক্ততা.exe’, ‘স্বার্থপরতা.com’ ও ‘বিদ্বেষ.exe’-এর মতো ক্ষতিকর প্রোগ্রামগুলো খুঁজে বের করে। তাতে সুফল মেলে সঙ্গে সঙ্গেই। যেমন আপনাকে ‘নিদারুণ অপমান.mp4’ ফাইলটি কখনোই আর শুনতে হবে না। কিছু কিছু ক্ষতিকর ফন্টও আপনার হৃদয়ে আর কাজ করবে না। যেমন—গালিগালাজ১২, কর্কশ১০ ইত্যাদি।

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
ডাবল ক্লিকে হৃদয় খুলুন
ইনস্টল শুরু করার জন্য প্রথমেই ডাবল ক্লিক করে আপনার হৃদয়খানি খুলুন। খুব সাবধানে লক্ষ করুন, একই সময়ে আপনার হৃদয়ে অন্য কোনো প্রোগ্রাম চলছে কি না। এ জন্য কি-বোর্ডের Ctrl+Alt+Delete চাপুন একসঙ্গে। এবার হার্ট অ্যাপ্লিকেশন ট্যাবে ক্লিক করুন। যদি এর আগে অন্য কোনো অতিরিক্ত হৃদয় ইনস্টল করে থাকেন, তাহলে ‘অতীতে পাওয়া আঘাত.exe’, ‘মৃদু অভিমান.exe’ ও ‘চরম হতাশা.exe’ প্রোগ্রামগুলোকে তখনো চলতে দেখবেন। ইনস্টলেশন-প্রক্রিয়া সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য ক্ষতিকর এসব ফাইল মুছে ফেলা জরুরি।

কীভাবে মুছবেন হৃদয়ঘটিত টেম্পোরারি ফাইল
অপারেটিং সিস্টেম থেকে হৃদয়ঘটিত পুরোনো টেম্পোরারি ফাইল মুছে ফেলার জন্য প্রয়োজন ‘আবেগ ২.০’ নামের একটি ছোট্ট ইউটিলিটি সফটওয়্যার। তবে হ্যাঁ, নানা চেষ্টার পরও হার্ডড্রাইভ থেকে এসব প্রোগ্রাম পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব নয়, কিন্তু ভালোবাসার প্রভাবে সেগুলো অন্যান্য প্রোগ্রামের তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, ‘হিংসা.exe’ ও ‘বিরক্তি.dat’ প্রোগ্রাম দুটি কোনোভাবেই যেন আপনার অপারেটিং সিস্টেমে চলতে না পারে। কারণ, সঠিকভাবে ভালোবাসা ইনস্টলের ক্ষেত্রে এ দুটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ জন্য স্টার্ট মেন্যু থেকে ‘করজোড়ে ক্ষমা’ প্রোগ্রামটি চালু করুন ডাবল ক্লিক করে। বেশ কয়েকবার প্রোগ্রামটি চালু রাখার দরকার হতে পারে, যতক্ষণ না ‘হিংসা.exe’ ও ‘বিরক্তি.dat’ পুরোপুরি মুছে না যায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত এরর মেসেজ
ইনস্টল করার সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত এরর মেসেজের সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন ‘এরর-৪১২: বাইরের যন্ত্রাংশ নিয়ে প্রোগ্রামটি রান করা সম্ভব নয়...’ অনেকেই এতে ঘাবড়ে যান। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটা সাধারণ একটি সমস্যা। এর মানে হলো, ভালোবাসা প্রোগ্রামটি আপনার এক্সটারনাল হৃদয়ে চলতে সক্ষম, তবে হৃদয়জুড়ে নয়। আরও সরলভাবে বললে, অন্যকে ভালোবাসার আগে আপনি নিজেই নিজেকে ভালোবাসা শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এর সমাধান কী? খুবই সহজ, সার্চ দিয়ে ‘আত্মবিশ্বাস’ ডিরেক্টরিটা খুুঁজে বের করুন প্রথমে। এরপর ‘মাই হার্ট’ ডিরেক্টরিতে কপি করুন এই তিনটি ফাইল: ‘আত্ম-উপলব্ধি.txt’, ‘নিজেকে ক্ষমা করো.doc’ ও ‘নিজেকে জানো.txt’। এ ছাড়া প্রতিটি ডিরেক্টরির ভেতর লুকিয়ে থাকা ‘অতিরিক্ত আত্মসমালোচনা.exe’ ফাইলটি ডিলিট করুন, পুরোপুরি মুছে দিন রিসাইকেল বিন থেকেও। ‘আনঅ্যাবল টু কানেক্ট’ নামের আরেকটি এরর মেসেজ দেখা যায়। এটা একদমই উপেক্ষা করুন। আপনার হৃদয় কোন দেশে তৈরি, কোন ব্র্যান্ড কিংবা মডেল কী—এসবের কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়।

আপগ্রেড করুন সময়-সুযোগমতো
ভালোবাসা ইনস্টলের পরবর্তী ধাপগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। তবে মনে রাখতে হবে, এটা মূল প্রোগ্রাম মাত্র। একে সচল রাখার জন্য নিয়মিত আপডেট-আপগ্রেড করা জরুরি। আপনি যদি একে আপগ্রেড করতে চান, তাহলে অবশ্যই অন্য কোনো হৃদয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে।

ইনস্টলের শেষ ধাপ
এতক্ষণে আপনি দেখে থাকবেন, আপনার হৃদয় নতুন নতুন ফাইলে ভরে গেছে। মনিটরের ডান দিকে ‘মুচকি হাসি.mp3’ ফাইলটি দেখা যাবে। ‘হৃদয়ের উষ্ণতা.com, ‘অনাবিল প্রশান্তি.exe’ ও ‘রংতামাশা.com’ ফাইলগুলো আপনার হৃদয়জুড়ে নিজেরাই নিজেদের কপি করবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, অন্যথায় কি-বোর্ডে ‘কন্ট্রোল+শিফট+সি’ চাপুন। এ পর্যন্ত যদি আসতে পারেন, তাহলে বুঝবেন, আপনার হৃদয়ে ভালোবাসা ইনস্টল পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।

একনজরে ‘ভালোবাসা এক্সপি প্রফেশনাল’
সফটওয়্যারের ধরন: ফ্রিওয়্যার, লাইসেন্স ছাড়াই বিনা মূল্যে বিতরণযোগ্য।
অপারেটিং সিস্টেম: হৃদয় অপারেটিং সিস্টেম ২০১০ (সার্ভিস প্যাক ৪), এমএস হার্ট বিজনেস এডিশন।
হার্ডডিস্ক: ইনস্টলযোগ্য হৃদয়ে সর্বোচ্চ ২৩০ হার্টবিট এবং সর্বনিম্ন ১৪০ হার্টবিট সমপরিমাণ জায়গা খালি থাকতে হবে।
ফাইল সাইজ: ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন।


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব   |  সামহোয়্যারইন ব্লগ
প্রকাশকাল : ১৪.০২.২০১১

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি সরকারি সংস্থা হয়, তাহলে এর অধীন ক্রিকেটারদের সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীই হওয়ার কথা। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। সরকারি অনেক নিয়মই সেখানে খাটে না। জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন লাখের ওপর বেতন পাচ্ছেন, ম্যাচ জিতলে গাড়ি-বাড়ি পাচ্ছেন পুরস্কার হিসেবে। যদি ক্রিকেট বোর্ড পুরোপুরি সরকারি কায়দায় চলে, তাহলে কী অবস্থা দাঁড়াতে পারে, চলুন, দেখা যাক একনজর -

ক্রিকেট বোর্ডের জনবল
■ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে নোয়াখালীতে কর্মরত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালককে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
■ কৃষি মন্ত্রণালয়, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন করে প্রতিনিধি জাতীয় ক্রিকেট দলের মূল নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে যেকোনো ম্যাচে দলের ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করবেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিব।
■ পর্যায়ক্রমে দলের কোচ হবেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীন বন সংরক্ষক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। এ ছাড়া সরকারের চাহিদামোতাবেক যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়া) ওই পদে কাজ করতে বাধ্য থাকবেন।
■ ক্রিকেট বোর্ড শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি হবেন সাকিব আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল।

বেতন-ভাতা
প্রচলিত সরকারি কর্মচারী মজুরি কাঠামো অনুযায়ী ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। তবে দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেটাররা হাতখরচ বাবদ দৈনিক এক হাজার ১২৫ টাকা হারে ভাতা পাবেন। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটাররা ৬৮০ টাকা হারে সরকার-নির্ধারিত অতিরিক্ত উৎসাহ ভাতা পাবেন।

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
কোটা সংরক্ষণ
বিশ্বব্যাংক ও নারীবাদী সংগঠনগুলোর অব্যাহত চাপে জাতীয় ক্রিকেট দলের ৩০ ভাগ জায়গা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ এবং উপজাতীয় কোটায় একটি আসন সংরক্ষণ করা হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি আইন
■ সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কোনো ধরনের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
■ যেকোনো ম্যাচের বিরতি চলাকালে মন্ত্রী ও সরকারদলীয় নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করবেন। এ সময় সব ক্রিকেটারকে বাধ্যতামূলকভাবে ড্রেসিংরুমে উপস্থিত থেকে বক্তব্য শ্রবণ করতে হবে।
■ ম্যাচ চলাকালে কোনো বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান ইনজুরিতে পড়লে ১০ জন নিয়েই খেলতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আদেশ ব্যতিরেকে তার বদলি হিসেবে অন্য কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটারকে অবশ্যই দুজন গেজেটেড অফিসারের প্রত্যয়ন ও ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পসহ সরকারি নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একজন সরকারি চিকিৎসক ও নিকটস্থ থানার একজন উপপরিদর্শকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই একজন ক্রিকেটার ইনজুরি আক্রান্ত বলে গণ্য হবেন।
■ ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে যেকোনো ধরনের লাফালাফি, হাত-পা ছোড়াছুড়ি, হাস্যরস ১৯৭৭ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণবিধির পরিপন্থী বলে গণ্য হবে। শুধু বোলিংয়ের সময় সরকারি বিধিমোতাবেক একটি বিশেষ উচ্চতা পর্যন্ত লাফানো যাবে।
■ ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের একজন উপহিসাবরক্ষক পরীক্ষা করে দেখবেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ার পর্যন্ত গেলে আইন ও বিচার-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তা পুনরায় পর্যালোচনা করবে।

উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন
■ কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে প্রচলিত ক্রিকেট বলের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা কর্তৃক উদ্ভাবিত বিশেষ পাটজাত বল ব্যবহার করা হবে।
■ কোনো মাসে সরকার যদি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে অপারগ হয়, তাহলে শুধু ওই মাসের জন্য নির্ধারিত ক্রিকেট ম্যাচগুলো উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হবে। ইজারাগ্রহীতা দর্শকদের কাছ থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করবে।
■ ক্রিকেট মাঠে চিয়ারলিডার সরবরাহ এবং বিরতির সময় সংগীত পরিবেশনের দায়িত্ব পাবে যৌথভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ঐক্য লিগ বা দল।
■ শুধু উল্লেখযোগ্য ক্রিকেট রেকর্ডগুলোই পরিসংখ্যান ব্যুরোতে সংরক্ষণ করা হবে অনধিক পাঁচ বছরের জন্য।

অবসর ও পেনশন
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিকেটারই ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারবেন। তবে সরকার চাইলে অবসরভোগীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে ম্যাচ খেলাতে পারবে। অবসরের পর বিধিমোতাবেক পেনশন-সুবিধা প্রাপ্য হবেন সবাই।

টিকিট প্রাপ্তিস্থান
ক্রিকেট ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে শুধু বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সব শাখা ও জীবন বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে একটার মধ্যে। ওয়েবসাইট, মোবাইল কিংবা সরকারি অনুমোদনহীন কোনো প্রতিষ্ঠান টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

টেলিভিশন সম্প্রচার
প্রতিটি ক্রিকেট ম্যাচ বাধ্যতামূলকভাবে শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশনেই প্রদর্শিত হবে, অফপিক আওয়ারে। যদি কোনো ম্যাচ সরাসরি দেখানো হয়ে থাকে, তাহলে বিটিভির সংবাদ এবং নিয়মিত অনুষ্ঠানমালার ফাঁকে ফাঁকেই ওই ম্যাচ প্রদর্শিত হবে যথাসম্ভব।

ঘরের রাজনীতি, বাইরের চাপ
■ সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের দাবির মুখে ৫০ ওভারের ম্যাচ তাদের চাহিদামতো ৩০ ওভার বা তারও কম ওভারে হতে পারবে।
■ বিলাসদ্রব্য ক্রয় খাতে ঋণ দেওয়ার আগে ক্রিকেট বোর্ডকে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরের জন্য সরকারের ওপর জোর চাপ প্রয়োগ করবে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক।

সরকারি সংস্থায় কর্মরত ক্রিকেটারদের অবস্থান
ম্যাচের বাইরে ক্রিকেটারদের যেসব পদে নিয়মিত সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা নিম্নরূপ—
সাকিব আল হাসান
সিনিয়র হিসাব সহকারী, গণপূর্ত বিভাগ।
তামিম ইকবাল
উপপরিচালক (যানবাহন), চট্টগ্রাম বন্দর।
মাশরাফি বিন মুর্তজা
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইমরুল কায়েস
খাদ্য পরিদর্শক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
জুনায়েদ সিদ্দিক
মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য অফিস।
রকিবুল হাসান
উচ্চমান সহকারী, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
শাহরিয়ার নাফীস
সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর।
মোহাম্মদ আশরাফুল
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
মুশফিকুর রহিম
সমবায় কর্মকর্তা, জেলা সমবায় অফিস।
নাঈম ইসলাম
হিসাবরক্ষক, জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস।
মাহমুদউল্লাহ
উপসহকারী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আবদুর রাজ্জাক
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
রুবেল হোসেন
ভান্ডাররক্ষক, সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
শফিউল ইসলাম
রাজস্ব কর্মকর্তা, শুল্ক ও আবগারি কার্যালয়।
নাজমুল হোসেন
সিনিয়র প্রশিক্ষক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী
ফিল্ড অফিসার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। 
 

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব  |  সামহোয়্যারইন ব্লগ
প্রকাশকাল : ২১.০৩.২০১১ 

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
আমি মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই, কাজী নজরুল ইসলামের মতো এমন একজন বিদ্রোহী টাইপ মানুষ কীভাবে সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠায় উৎসাহিত করার জন্য কবিতা লিখতে পারেন! এবং নিজেও ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারেন। আমি হব সকাল বেলার পাখি, সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি ডাকি। এটা হলো কোনো কিছু? আজব ব্যাপার না? আমি নিশ্চিত, এই কবিতা যখন তিনি লেখেন তখন তিনি নিজের ভেতর ছিলেন না, ফুলের জলসায় তিনি ছিলেন নীরব কবি। তার (ত-এর ওপর চন্দ্রবিন্দু হবে) কি তখন মতিভ্রম ঘটেছিল?

কাজী সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু চিনি, তাতে উনার মতো বান্দার সকালের ঘুম হারাম করে পাখিটাখি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার কথা না। আমি দিব্যচোখে দেখতে পাই, তিনি সারা রাত হইহুল্লোড় করে ভোরে ঘুমাতে গেছেন। দুপুর বারোটা-একটার দিকে উঠে একটা সিগারেট ধরাচ্ছেন, এর ভেতর কেউ একজন কড়া লিকারের চা এনে দিয়েছে। তিনি চায়ে তিনটা চুমুক দিয়েই ঢুকলেন বাথরুমে। এক-দেড় ঘণ্টা পর বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখলেন, মোবাইল স্ক্রিনে তিনটা মিসকল। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলে কে মিসকল দিয়েছে সেটা আমি বলছি না। কিন্তু তিনি একটু আড়ালে গিয়ে ফোন ব্যাক করলেন। আমি শুধু প্রথম কয়েকটা শব্দ শুনতে পেলাম, ও আমার জান পাখি...।

তাহলে কি তিনি পাখি নামের কোনো মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন? যে পাখি প্রতিদিন পুজোর ফুল কুড়াতে তাঁর বাগানে আসত? আর তিনি তাকে দেখতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন নাকি তিনি পাখি হতে চেয়েছিলেন? লিখতে চেয়েছিলেন, আমি হব সকাল বেলার পাখির।

Ashif Entaz Rabi শিক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ক্লাস ওয়ানের জন্য তারা বাংলা বই বের করবে। ওই বইয়ে বিখ্যাত লেখকদের ছড়া, কবিতা ইত্যাদি থাকবে। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা মনোনয়ন পেল—আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে। কবিতা বাবদ রবীন্দ্রনাথ ২০ টাকা বিল পেলেন। নজরুলেরও টাকা দরকার। তিনি বিদ্রোহী কবিতা জমা দিলেন। শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি বললেন, আপনার কবিতা পড়ে পোলাপান বিদ্রোহী হয়ে উঠবে। আমরা বিদ্রোহী শিশু চাই না। আমরা চাই পোষ মানানো যায় এমন ছেলেপেলে। তিনি আবার কলম নিয়ে বসলেন। লিখলেন, আমি হব সকাল বেলার মোরগ। কিন্তু পরের লাইনে গিয়ে তিনি আর ছন্দ মেলাতে পারেন না। ছন্দ মেলানোর জন্য তিনি কলম কামড়ে আবার লিখলেন, আমি হব সকাল বেলার কাক/সবার আগে কুসুমবাগে দেব আমি ডাক। কবিতা লিখে তিনি চলে গেলেন এক পাখি বিশেষজ্ঞের বাসায়। পাখি বিশেষজ্ঞ কাকের জায়গায় লিখলেন পাখি। ছড়াটা দাঁড়াল, আমি হব সকাল বেলার পাখি, সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি ডাকি। এই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
মাসুদুল হক কবিতার মেইন স্ক্রিপ্টে আসলে ছিল ‘আমি হব রাতের বেলার পাখি’। সেই সময় কাজী সাহেব দৈনিক প্রথম আঁধারে নিয়মিত লিখতেন। এই পত্রিকার এক প্রুফ রিডারের ছেলে ছিল কবির মহাভক্ত। সেই ছেলে এমনিতেই অফ-পিক আওয়ার পুরোটা ফিসফিস করে ফোনে কথা বলে কাটিয়ে শেষ রাতে ঘুমাতে যায়, তার ওপর যদি পত্রিকায় পরদিন এমন একটা ইন্সপায়ারিং কবিতা দেখে, তবে স্কুল পালিয়ে নজরুল না হলেও, রাত জেগে কবে না নজরুল টাইপ হয়ে যায় সেই সীমাহীন আশঙ্কায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে কবিতার ওপর কলম চালানো শুরু করলেন। পরদিন দুপুরে পেপার হাতে নিয়ে কবি দেখেন ‘রাত’ ‘সকাল’ হয়ে গেছে।

Liya Ferdous আসল ঘটনা হলো, কাজী সাহেব সকাল বেলা ফুল কুড়াতে আসা পাখির প্রেমে পড়ে লিখলেন—আমি হব সকাল বেলার পাখির বর/দুজন মিলে বাঁধব সুখের একখান ঘর। এরই মধ্যে এল পাখির জন্মদিন। কাজী সাহেবের হাত একেবারে খালি, গিফট তো দিতে হবে। তিনি শুনলেন, শিক্ষা বোর্ড ক্লাস ওয়ানের জন্য নতুন কবিতা চেয়েছে। হাতের কাছে আর কোনো কবিতা না থাকায় তিনি এটাই পাঠিয়ে দেন। পরে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা একটু সম্পাদনা করে কবিতাটিকে শিশু-উপযোগীকরে তোলেন।

Sobak Pakhi কাজী সাহেব আসলে আমাকে (সবাক পাখি) দেখে সুতীব্র অনুপ্রেরণায় মাথায় মুহুর্মুহু চাপ অনুভব করেছিলেন। বস্তুত তিনি চেয়েছিলেন আমার মতো বা অনেকটাই আমার মতো কিছু একটা হতে। সে চরম চাওয়ার পথ ধরে তিনি পরমভাবে উচ্চারণ করেছিলেন—আমি হব সবাক পাখি... কিন্তু পরবর্তী সময়ে অনেকেই সবাককে সকাল বেলা বা সবা কেলা—এসব বলে গুলিয়ে ফেলেছেন। অবশ্য সত্য কখনো চাপা থাকে না।

GM Tanim সকাল বেলার পাখি কবি ছোটবেলায় হতে চেয়েছিলেন। বড় হওয়ার পর অন্য সবার মতো তিনিও বেলাইনে চলে যান!

Local Talk সত্যি কথা বলতে কি, এই রহস্য উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বিরোধী দলও এই বিষয়ে সহায়তা দিতে রাজি নয়। তারা বলছে, সরকার রহস্য উদ্ধারে আন্তরিক নয়। অজ্ঞাত কারণে মুখে কুলুপ এঁটেছে সুশীল সমাজও। শেষমেশ মার্কিন দাতা সংস্থার অর্থায়নে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সোসাইটির তত্ত্বাবধানে ৩৩ জন কবি-গবেষক (+প্রাবন্ধিক) পরিচালিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, কবি সকালে উঠতেন মূলত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (রূপক অর্থে কুসুম বাগ) সকাল সকাল পৌঁছানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। কবি ছিলেন সেখানকার নিয়মিত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। ভুতুড়ে স্পিনিং মিলসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কিনে দেখেছিলেন লাভের মুখও। এ ছাড়া একাধিক বোনাস শেয়ার পাওয়ার পর কবির উচ্ছ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায় যথাক্রমে তার একটি চতুর্দশপদী কবিতা ও দুটি দ্বিপদী ছড়ায়। 
 

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল : ১৮-০৪-২০১১

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করা এখন অনেক সহজ। আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে গ্রাহককে নানা হয়রানির মুখে পড়তে হতো। বর্তমান নিয়মে ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যা যা লাগবে—
১. বিটিসিএলের একটি স্থায়ী বৈধ ফোন সংযোগ।
২. সর্বশেষ পরিশোধিত ফোন অথবা গ্যাস বিলের সত্যায়িত কপি।
৩. চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ডিজিটাল ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)।
▬▬▬▬

রেজিস্ট্রেশন করার অনধিক ২৩ দিনের মধ্যে সদস্য হতে ইচ্ছুক গ্রাহকের স্থায়ী ঠিকানা বরাবরে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হবে। বিশেষ ফাইবার অপটিক ক্যাবলসহ ইন্টারনেট সংযোগ গ্রাহককেই নিজ খরচে সংগ্রহ করতে হবে।
▬▬▬▬

জেনে রাখা ভালো, ফেসবুক সেবাটি ১৮ বছরের কম বয়সী কারো ব্যবহারের জন্য নয়। গ্রাহকের বয়স ১৮ বছরের কম হলে ভোটার আইডি কার্ড ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা চেয়ারম্যানের সনদসহ প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে।
▬▬▬▬

সরকারের ইতিবাচক কার্যক্রম সংক্রান্ত যে কোন স্ট্যাটাস, নোট এবং অন্যান্য সেবায় আনলিমিটেড ‘লাইক’ প্রদান করা যাবে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন একাউন্টের স্ট্যাটাসসহ অন্যান্য সেবায় প্রতি ১০০টি ‘লাইক’-এর বিপরীতে ১০% হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।
▬▬▬▬

ভুলবশত বা স্মরণশক্তির অভাবে পাসওয়ার্ড হারানো গেলে ঢাকার মগবাজারস্থ ফেসবুক প্রকল্পের কার্যালয়ে উপ পরিচালক-১ বরাবরে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে।
▬▬▬▬

গ্রাহকের সঙ্গে ফেসবুক সংক্রান্ত যে কোনো যোগাযোগ শুধুমাত্র ডাকযোগাযোগের মাধ্যমেই সম্পাদিত হবে। ইমেইল বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এই ধরনের যোগাযোগের দায় গ্রাহককেই বহন করতে হবে।
▬▬▬▬

লিখিত অনুমতি ছাড়া ফেসবুকের স্ট্যাটাস, ব্যক্তিগত তথ্য, নোট, বন্ধু তালিকাসহ সাইটের কোন অংশের ব্যাকআপ নেওয়া বা ডাউনলোড করা যাবে না। এর অন্যথা ঘটলে তা ফৌজদারি আইনের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে। তবে গ্রাহক চাইলে লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে কিছু অংশের প্রিন্ট নিতে পারবেন।

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |   ফেসবুক ফ্যান পেইজ   |  ফেসবুক লিংক    |   সামহোয়্যারইন ব্লগ
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
■ হেলিকপ্টারযোগে স্ট্যাচু অব লিবার্টি স্থাপনের জায়গা নির্বাচনের চেষ্টা চালানো হবে মাস ছয়েক ধরে। এ উপলক্ষে কমিটিতে মন্ত্রী ও সচিব ছাড়াও থাকবেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা। সারা দেশ ঘুরে, বহু মাইল উড়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য ঢাকাতেই স্ট্যাচু স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

■ স্ট্যাচু স্থাপনের জন্য প্রথমেই ধানি জমির বিশাল কোনো মাঠ বেছে নেওয়া হবে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অনিবার্য বিক্ষোভের মুখে পড়ে খোঁজা হবে জলাভূমি। এ জন্য এক একর জায়গা যথেষ্ট হলেও অধিগ্রহণ করা হবে কমপক্ষে ১০০ একর। দেশের স্বার্থে সেখানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে একটি ‘বঙ্গবন্ধু সিটি’ এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে একটি ‘জিয়া সিটি’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

■ স্ট্যাচু অব লিবার্টির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু টাওয়ার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হবে। এর জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকে ততোধিক জোরালো যুক্তি তুলে ধরা হবে, কেন ওটাকে ‘জিয়া স্মৃতি ভাস্কর্য’ নামকরণ করা জরুরি। তবে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ জন্য অবধারিত উদ্বেগ প্রকাশ করার পর দুই পক্ষই আপাতত চুপ যাবে। নগ্ন মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ১৩ সদস্যবিশিষ্ট (ব্যানারসহ) একটি মিছিলের আয়োজন করবে।

■ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার আগেই স্ট্যাচু অব লিবার্টির উদ্বোধন করবেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। পরে ক্ষমতায় এসে সাড়ম্বরে দ্বিতীয়বার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ নিয়ে পক্ষকাল ধরে বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি চলবে।

■ এই ধরনের নারীমূর্তি স্থাপনকে নারীনীতি বাস্তবায়নের জঘন্য কূটকৌশল হিসেবে অভিহিত করে মুফতি ফজলুল হক আমিনী একটি অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করবেন। এ ছাড়া স্ট্যাচু অব লিবার্টি স্থাপনের মাধ্যমে ইঙ্গ-মার্কিন-ভারতীয় আধিপত্যবাদী চক্র সুগভীর চক্রান্ত করছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করবেন জাগপা দলের সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। 
 
সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
কে না জানে, বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো জলপ্রপাত নায়াগ্রা—পৃথিবীর বিস্ময়। আমেরিকা ও কানাডাজুড়ে বিস্তৃত এই জলপ্রপাতের অবস্থান যদি দৈবচক্রে ঢাকার আশেপাশে হতো, কী হতো তার হাল সেটাই কল্পনা করার চেষ্টা—





সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]

নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক নিয়ে এ পর্যন্ত গবেষণা কম হয়নি। বলা হয়ে থাকে মানুষের মস্তিষ্কে মোট ১১ বিলিয়ন স্নায়ুকোষ থাকে। বক্ষমান গবেষণায় কল্পবৈজ্ঞানিক নীতিমালা অনুসারে কোষগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবে উপ-ভাগগুলো চিত্রে দেখা যাবে না, দেখতে হলে চিত্রটি জুম করে নিতে হবে।

গঠনবৈচিত্র্য
মেয়েদের মস্তিষ্কের গঠনপ্রণালী অত্যন্ত জটিল, বৈচিত্র্যময়ও বটে। আয়তনে যদিও ছেলেদের তুলনায় কিছুটা ছোট, তবে কোষবৈচিত্র্যের এমন সমাহার অভূতপূর্ব। ছেলেদের মস্তিষ্ক মেয়েদের পুরো উল্টো। আয়তন যেমন বড়ো, কোষও তেমনি বেশি। কিন্তু বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। ছেলেদের মস্তিষ্কের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে প্রেম (ভালোবাসা নয়), প্রেমালাপ আর প্রেমিকা বিষয়ক কোষের প্রাধান্য।

বাংলাদেশি মস্তিষ্ক
আচমকা দুর্ঘটনায় বিকল হয়ে গেল এক বিদেশীর মস্তিষ্ক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেন মস্তিষ্ক পরিবর্তন করা ছাড়া উপায় নেই। রোগীর স্বজনরা—তড়িঘড়ি সেকেন্ডহ্যান্ড মস্তিষ্ক কিনতে ছুটলেন বিপণি বিতানে। নানান দেশের নানান বয়সী মানুষের মস্তিষ্ক সারি সারি সাজানো, নিচে মূল্য লেখা—ফিক্সড প্রাইস। ঘুরেফিরে সন্তুষ্ট তারা। শুধু একটি ব্যাপার ভীষণ বিস্মিত করল তাদের—জাপানি মস্তিষ্ক এতো সস্তা আর বাংলাদেশি মস্তিষ্কইবা কেন এতো দামি? জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা বিবেচনায় নিলে বরং উল্টোটাই তো হওয়ার কথা! রহস্য ভাঙলেন বিক্রেতা—জাপানের মস্তিষ্ক আসলে এতো বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে সেটা কিনে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম, অন্যদিকে বাংলাদেশি মস্তিষ্ক মাত্রেই আনকোরা—সাধারণত ব্যবহার হয় না বললেই চলে, কাজেই জাপানের চেয়ে বাংলাদেশি মস্তিষ্কের মূল্য তো বেশি হবেই!


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো ১  |  ই-প্রথম আলো ২  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
এই গানগুলোই ঘুরে-ফিরে বাজে রাজনীতির ময়দানে, জনসভায়, মিছিলে, সংবাদ সম্মেলনে—বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। মতায় থাকলে ক্যাসেটের এ-পিঠ বাজে, আর না থাকলে ও-পিঠ। এমন সুরেলা সব চিরসবুজ গান এতোদিন পড়ে ছিল অরতি অবস্থায়, আমরাই প্রথম উদ্যোগী হয়ে গানগুলো ফিতাবন্দি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো জনসভা-মিছিলে সশরীরে স্বমুখে কষ্ট করে আর বক্তব্য প্রকাশ করতে হবে না, ক্যাসেটটি ছেড়ে দিলেই হবে।

আওয়ামী গীতি
কথা ও সুর : শেখ হাসিনা

১. হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! হুঁশিয়ার!!!
২. জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক
৩. বিএনপি মানে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাট...
৪. চারদলীয় জোট নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
৫. কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না
৬. বিগত জোট সরকার দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে
৭. আওয়ামী লীগ মতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়
৮. কুচক্রী মহল পদে পদে বাধা দিচ্ছে
৯. তারা দেশের সর্বনাশ করে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে
১০. আমাদের সরকার উন্নয়নে ১০০ ভাগ সফল
১১. দেশ আজ সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা
১২. সারা বিশ্বে দেশ কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে
১৩. সবখানে আজ শান্তির সুবাতাস
১৪. খোদা হাফেজ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বিএনপি গীতি
কথা ও সুর : খালেদা জিয়া

১. সাবধান! সাবধান!! সাবধান!!!
২. স্বাধীনতারই ঘোষক জিয়াউর রহমান
৩. আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন...
৪. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে
৫. আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র নয় নিরাপদ
৬. সরকারের ওপর জনগণের কোন আস্থা নেই
৭. জিয়ার ১৯ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে
৮. ভারতের কাছে দেশ বিক্রি হয়ে গেছে
৯. দেশে নৈরাজ্য, দুঃশাসন ও লুটপাট চলছে
১০. এ সরকার সর্ব ক্ষেত্রে ব্যর্থ
১১. এই হরতাল দেশ ও গণতন্ত্র রার স্বার্থে
১২. যদি চেষ্টা হয় তবে টানা আন্দোলন
১৩. অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে
১৪. আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ


সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  প্রথম আলো ওয়েব
প্রকাশকাল :

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গকে নিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক' ছবিটি অনেকেই দেখে থাকবেন। এর আগেও বিল গেটস এবং অ্যাপলের স্টিভ জবসকে সিনেমা নির্মিত হয়েছে। বিশেষ করে হলিউডে প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি গুরুদের নিয়ে সিনেমা নির্মিত হয়েছে আরো বেশকিছু। হলিউডে সম্প্রতি গুগলকে নিয়ে সিনেমা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইসবের বাইরেও বিচ্ছিন্নভাবে এই ধরনের বেশকিছু ভালো সিনেমার খোঁজ পাওয়া যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘাঁটলে। সেরকমই কিছু ভালো সিনেমা নিয়ে এই লেখা। সঙ্গে যথারীতি থাকছে ডাউনলোড লিংক।



সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  সামহোয়্যারইন ব্লগ

প্রকাশকাল :

ইভটিজিং কেন কমে না? অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হল- ইজটিজিং প্রতিরোধ বিষয়ক লেখাগুলো খুব দুর্বোধ্য হয়ে থাকে। সাধারণ পাঠক করণীয় কী - সহজে বুঝে উঠতে পারে না। এক চিমটি 'ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা'র পাশাপাশি আধপোয়া সামাজিক মূল্যবোধের মিশেল, সঙ্গে 'আর কতকাল এই ঘৃণ্য অপতৎপরতা চলিবে' শীর্ষক মধ্যবিত্তসুলভ উপসংহার টেনে ইভটিজিং সংক্রান্ত আমাদের যাবতীয় রচনা শেষ হয়।

যা হোক, ইভটিজিং সবসময়ই আসলে খারাপ নয়, তাতেও আছে আকর্ষণীয় সব পুরস্কারের হাতছানি, লোভনীয় সব অফার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণীর ইভটিজারের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় এখন নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো অফার করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রকৃত ইভটিজাররা এখন ওইসব সুবিধাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।








কাজেই তোমার আশেপাশের পরিচিত-অপরিচিত বখাটের নাম-ঠিকানাসহ এসএমএস করো আজই অথবা সরাসরি চলে এসো নিকটস্থ থানায়।

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
বড়ো আকারে
প্রথম আলোর রস+আলোতে প্রকাশিত পুরো চিত্রটা বড়ো আকারে একসঙ্গে দেখতে চাইলে ক্লিক করতে হবে ঠিক এইখানে

সংযুক্তি :
ই-প্রথম আলো  |  সামহোয়্যারইন ব্লগ  |  ব্লগার আজাদ আল্-আমীনের পোস্ট
প্রকাশকাল :

ছবিগুলো অনেকদিন ধরে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। আগলে রেখেছিলাম সযত্নে। পত্রিকার সাংবাদিকদের উপর্যুপরি পীড়াপিড়ি আর কাতর অনুরোধে বহুদিন পর আজ সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দিলাম। ছবিগুলোর কপিরাইট কঠোরভাবে সংরক্ষিত।

[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]
[পূর্ণ রেজ্যুলেশনে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন]











প্রথম প্রকাশ