ডেস্টিনি, ইউনিপের শুরুটাও এভাবেই হয়েছিল। শুরুতে দু একটা ভালো কাজ - গাছের চারা রোপণ, দুঃস্থ মহিলার চিকিৎসা...এরকম স্পর্শকাতর নানা বিষয়-আশয়কে আশ্রয় করে। বাংলাদেশে ভূঁইফোড় প্রতারক যেসব এনজিও, তারাও ঠিক এভাবেই কাজ শুরু করে - মানবিক নানা ছলছুঁতো দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা। কখনো ভাবিনি বাংলা ব্লগমণ্ডলকে আশ্রয় করে এমন ঘটনা ঘটবে। বিস্ময়করভাবে সেটাই ঘটেছে। আমার ফাউন্ডেশন নামের একটি অজ্ঞাত সংস্থা কয়েকটি বাংলা ব্লগে সন্দেহজনক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

জনসেবা বাংলাদেশে, কিন্তু ঠিকানা ইউকে'র!
বলা হচ্ছে, এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জনসেবামূলক কাজ করবে। তাহলে তার ঠিকানা ইউকের কেন? সেটা ইউকেতেই কেন নিবন্ধিত হল? কেন বাংলাদেশে ওই ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হল না? বাংলাদেশ থেকে দান করা টাকাই বা কেন ইউকের ঠিকানায় পাঠাতে হবে? অর্থসাহায্য চেয়ে যে পেপ্যাল একাউন্ট খোলা হয়েছে, তার স্বত্ত্বাধিকারী তো কোনো সংস্থা নয়, একজন মাত্র ব্যক্তি। কে সে? কী তার পরিচয়? ওই ফাউন্ডেশনে কারা আছে নেপথ্যে, আমরা কেউ জানি না। ট্রাস্টি হিসেবে সুশান্ত দাশগুপ্ত ছাড়া কামরুল হাসান এবং রবিউল আলম নামের দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নাম দেখা যাচ্ছে। তারা কারা, আমরা জানি না। প্রশ্ন আসলে অনেক। কিন্তু উত্তর পাওয়ার লোক নেই। সুশান্ত দাশগুপ্ত নামের এক ভদ্রলোক তার স্বাক্ষরে একটা কনস্টিটিউশন তৈরি করেছেন বটে, কিন্তু সেটা বরং আরো গোলমেলে। সেটা উল্টো আরো নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।

অর্থ সংগ্রহের নানা কৌশল
ব্লগমণ্ডলে তাদের তৎপরতা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে কোনো উপায়ে অর্থ সংগ্রহই তাদের মূল লক্ষ্য। ফাউন্ডেশন কর্তা তার একটি লেখায় প্রথমে জানাচ্ছেন -
'প্রথম স্টেজে আমাদের ৫০০০ পাউন্ড তুলতে হবে। এরপর ব্যাংক স্টেইটমেন্ট চ্যারিটি কমিসন এ পাঠাতে হবে ২য় স্টেজে যাওয়ার জন্য।'[/si] অর্থ দেওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ওই লেখায় - [si]"চ্যারিটির অর্থ পাঠানোর উপায়গুলো নিম্নে দেয়া হলোঃ ১) অনলাইনে প্যে-পালের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত হতে admin@amarfoundation.org.uk ঠিকানায় চ্যারিটির অর্থ পাঠানো যাবে। ২) নিম্নোক্ত একাউন্টে ব্যাংকের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন দেশ হতে চ্যারিটির অর্থ পাঠানো যাবেঃ Account Name: Amar Foundation Limited Account Number: 02248549, Sort Code: 40-05-16, HSBC Bank Branch Name: HCBC, PO BOX 1EZ, 196 Oxford Street, London W1D 1NT United Kingdom."

এদিকে গত সপ্তাহে আবার নতুন করে আমার ফাউন্ডেশন নামের ওই সংস্থার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-
"আমার ফাউন্ডেসন এর প্রথম প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশী টাকায় ৩ লাখ টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য নিয়ে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে এই প্রথম প্রকল্প শুরু হলো।..."

নতুন ধারার অনলাইন প্রতারণা?
ফাউন্ডেশনের বৈশিষ্ট্য, সন্দেহজনক তৎপরতা, অর্থ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা এবং কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ বিশ্লেষণ করে এটাকে নতুন ধারার অনলাইন প্রতারণা বলেই মনে হচ্ছে। মানি লন্ডারিং কিংবা হুন্ডি ব্যবসার নতুন কৌশল হলেও সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই ধরনের অনলাইন প্রতারণা আমাদের কাছে অপরিচিত কিছু নয়, আবার মানি লন্ডারিং কিংবা হুন্ডি ব্যবসাও বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। ওসব নিয়ে আমার খুব বেশি মাথাব্যথাও নেই। কিন্তু সন্দেহজনক এই তৎপরতার টার্গেট যেহেতু বাংলা ব্লগমণ্ডল, একজন ব্লগার হিসেবে এই তৎপরতাকে উপেক্ষা করাও কঠিন। ব্লগিং ব্যাপারটা বাংলাদেশে এখনো নতুন একটি শব্দ। অনেকে একে সন্দেহের চোখে দেখেন। কেউ কেউ আবার উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেদের আড্ডাখানা হিসেবেও দেখেন একে। কিন্তু ব্লগাররা জানেন, ব্লগিংয়ের শক্তি কতোটা। যারা এইসব অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের কাছে একটিই অনুরোধ - ব্লগারদের মনটা ভেঙে দেবেন না। মাত্রই হাঁটতে শেখা বাংলাব্লগের ওপর কালো কালি লেপ্টে দেবেন না দয়া করে।




  • ৪১ টি মন্তব্য
  • ৯২৪ বার পঠিত,
পোস্টটি ১৫ জনের ভাল লেগেছে

৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৬
লেখক বলেছেন: হুমম!


২. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩১
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৮
লেখক বলেছেন: বাংলা ব্লগমণ্ডলটা মাত্রই গড়ে উঠতে শুরু করছিল। এর মধ্যেই যদি ব্লগারদের শক্তিটাকে টার্গেট করে এইরকম অপতৎপরতা চলে, আমরা ব্লগাররা কোথায় যাবো বলুন!


৩. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩২
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯
লেখক বলেছেন: সেদিন পত্রিকায় খবর এলো - মোবাইল চুরি করার জন্য মা তার কিশোর ছেলেটাকে জোর করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতেন। ছেলে যেতে না চাইলে মারধর করতেন। টিভিতে দেখানো হল - ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করার জন্য শিশু-কিশোর-বৃদ্ধদের আটকে রেখে তাদের অঙ্গহানি করা হচ্ছে, খাবার কম দিয়ে বা একেবারেই না দিয়ে দুর্বল করা হচ্ছে।

টাকা, টাকা আর টাকা! টাকার জন্য আর কতোটা নিচে নামবো আমরা?


৪. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪০
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩২
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ!


৫. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৭
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
খুবই উদ্বেগের বিষয়। এখন থেকেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।


৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৪
লেখক বলেছেন: জিসান ভাই, আপনি নিজেই ঘুরেফিরে দেখেন, তাদের প্রচার-প্রচারণার মূল সুরটা বুঝে দেখেন - পুরো বিষয়টা আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

শুরুতে দু একটা মানবতামূলক কাজ করে পরে অর্থ নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা কি খুব কম এই বাংলাদেশে? আসলেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত শুরুতেই। পরে যখন কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে, তখন আর ব্যবস্থা নিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ এই সংস্থার ঠিকানা ইউ,কেতে।


৬. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯
সামদ বলেছেন: ফিফা, আপনার পোষ্ট থেকেই ডিটেইলস জানলাম। যে কেউ টাকা মেরে খেলে সেটা অন্যায়, সেটার কোন সাফাই চলে না। ব্লগ কে ব্যবহার করে মানুষের জন্য সাহায্য চাওয়া কিন্তু নতুন নয়। এই ব্লগ সহ নানা অনলাইন ফোরামের ইউজারদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে অনেকেই - যেমন প্রাপ্তি, শ্বাশত সত্য। (ঐসব ক্ষেত্রে আমারব্লগ জড়িত ছিল কিনা আমার জানা নাই)। মূল হচ্ছে স্বচ্ছতা, সেটা বজায় রেখে চললেই হয়।

তবে একটা ব্যাপার কি, আপনার সাথে আমারব্লগে'র ঝামেলা আছে অনেক আগে থেকেই। ঝামেলার মাত্রা টা এই পর্যায়ে যে আপনি সেইখান থেকে ব্লগিং বন্ধ করে চলে আসার পর সেটাকে কলিকাতা ব্লগ বলে তীব্র সাম্প্রদায়িক ট্যাগিং করতেও পিছপা হন নাই, যদিও সেখানকার ৮০%+ ইউজার বাংলাদেশের (অ্যালেক্সা)। কারন সেটার এডমিনের সুশান্ত নামটা একজন হিন্দুর যদিও সেই ব্যক্তি একজন স্বঘোষিত নাস্তিক।

এখন এরা (আমারব্লগে'র লোকজন) যদি টাকা মেরে খায় সেটার বদনামের ভাগী তারা হবেই কিন্তু এই পোষ্টটা যদি শুধুই আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দেয়া হয় তাহলে স্বল্পমেয়াদে আপনি হয়ত অনেকের বাহবা পাবেন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই পোষ্টটা আসলে তাদের বিজ্ঞাপন হিসাবেই কাজ করবে। অবশ্য ভবিষ্যতই বলতে পারে এটা একটা সৎ উদ্যোগ নাকি মানবতার নামে টাকা মেরে খাবার একটা প্রচেষ্টা।
ধন্যবাদ।






৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: লক্ষ্য করবেন, এই পোস্টে আমি কোনো ব্লগের নামই নিইনি। কারণ এই পোস্টের বিষয়বস্তুর সঙ্গে ব্লগকে অযাচিতভাবে টেনে আনা আমি যৌক্তিক মনে করিনি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এখানে ঝামেলা বা ইচ্ছাকৃত কটুক্তির কোনো কিছু নেই।

আমি সরলভাবে খুব যৌক্তিক কিছু প্রশ্ন রেখেছি, যার কোনো উত্তর পাইনি অনেক ঘেঁটেও। বলা হচ্ছে, এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জনসেবামূলক কাজ করবে। তাহলে তার ঠিকানা ইউকের কেন? সেটা ইউকেতেই কেন নিবন্ধিত হল? কেন বাংলাদেশে ওই ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হল না? বাংলাদেশ থেকে দান করা টাকাই বা কেন ইউকের ঠিকানায় পাঠাতে হবে? অর্থসাহায্য চেয়ে যে পেপ্যাল একাউন্ট খোলা হয়েছে, তার স্বত্ত্বাধিকারী তো কোনো সংস্থা নয়, একজন মাত্র ব্যক্তি। কে সে? কী তার পরিচয়? ওই ফাউন্ডেশনে কারা আছে নেপথ্যে, আমরা কেউ জানি না। ট্রাস্টি হিসেবে সুশান্ত দাশগুপ্ত ছাড়া কামরুল হাসান এবং রবিউল আলম নামের দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নাম দেখা যাচ্ছে। তারা কারা, আমরা জানি না। প্রশ্ন আসলে অনেক। কিন্তু উত্তর পাওয়ার লোক নেই। সুশান্ত দাশগুপ্ত নামের এক ভদ্রলোক তার স্বাক্ষরে একটা কনস্টিটিউশন তৈরি করেছেন বটে, কিন্তু সেটা বরং আরো গোলমেলে। সেটা উল্টো আরো নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।


৭. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৫০
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: খুব ভালো করেই জানেন শুশান্তদা কিংবা আমারব্লগ এগুলো করবে না। ক্যানো যে পিছনে লাগেন! /:)

আপনাদের অবস্থা হয়েছে আওয়ামীলীগ বিএনপির মতো!


কোন একটি অসুস্থ মানুষকে বাঁচানোর উদ্যোগে শুশান্তদা ঘোষণা দিয়েছিলেন, কেউ যদি এক টাকা দান করে, আমিও সমপরিমান টাকা দান করবো! এমন একটি মানুষ আর যাই হোক, টাকার জন্য নিচে নামবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

এই পোস্টের প্রতিবাদী বিদ্রুপী পোস্ট একটা আমুতেও আসবে, সেটাতে আপনার, সামুর কিংবা সামুর মালিক পক্ষের জামা কাপড় নিয়ে টানা হেঁচড়া চলবে.....এগুলো কি শোভন? :(

যাইহোক, আমি আমজনতা। রথী মহারথীদের ভিড়ে চাপা খেয়ে মরতে চাই না ভাই। চালায়া যান! /:)


৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১১
লেখক বলেছেন: আপনি মহান, আমি জেলা দায়রা জজের মুহুরী এবং আপনি অত্যন্ত জ্ঞানী। তাই এই পোস্টে কোনো ব্লগের নাম না নিলেও আপনি আবিষ্কার করে ফেলেছেন, আমারব্লগের কথা। নিজ উদ্যোগে রায়ও দিয়ে দিয়েছেন - "খুব ভালো করেই জানেন শুশান্তদা কিংবা আমারব্লগ এগুলো করবে না।" আহারে!

ব্লগ-ফ্লগ, দ্বন্দ্ব-টন্দ্বের জুজু আপাতত আপনার বুকপকেটে চাপা দিয়ে রেখে লেখাটি মন দিয়ে একবার পড়ুন। সেখানে সরলভাবে কিছু প্রশ্ন রাখা আছে, ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারো সঙ্গে আপনার যোগসাজশ থাকলে প্রশ্নগুলোর উত্তর এনে দেবেন দয়া করে। ব্লগারদের মুখের দিকে তাকিয়ে অন্তত এইটুকু উপকার করেন।


৮. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৮
রায়হান রাহী বলেছেন: এর পিছনে রয়েছে আওয়ামামী লীগের চট্টগ্রাম পটিয়ার এমপি নাজমুল শারুন যে কিনা নিজেকে জয়ের খুব কাছের ভাবে। সেও ১৫ দিন আগে লন্ডন গিয়েছে এই কাজে।


৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৮
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, আমিও এটা শুনেছি, সে চট্টগ্রামের এমপি শামসুল হকের পুত্র। আসলে পুরোটাই একটা সুসংঘবদ্ধ চক্র, যারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে নানামুখী প্রতারণায় সক্রিয়। এই ফাউন্ডেশন তারই একটি অংশ। ব্লগার হিসেবে আমার নিজেরই লজ্জা লাগছে। মানুষ ভাববে, আমরা ব্লগিংয়ের নামে এইসব করছি। :(


৯. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০০
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: BLOG ER OBOSTHA DINE DINE ARO KHARAP HOITASE.....:( :( :(

EKTA BEPAR BUJHLAM NA. LOCAL TALK VAI POST E LIKHLEN ''AMARFOUNDATION'' ER KOTHA. AR POST ER COMMENT GULATE ''AMARBLOG'' ER NAM LOY KEN!!! :o :o :o


৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২২
লেখক বলেছেন: ey post-er kothao kono blog-er naam niyni. taar dorkar-o chilo na. kintu keo keo nij uddog-e abishkar korechen ekti blog-er naam. er maane holo, koushole oporadh dhakar ekta chesta. asol ghotona-ke onnodike probahito korar chesta. bujte parar jonno thanks munna.


১০. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৪
রায়হান রাহী বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার দাবি জানাই। এসব ভন্ডরা এর আগে ইউনিপে দিয়ে মানুষকে চুষছে এখন নতুন এই ধান্ধা।


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৮
লেখক বলেছেন: থ্যাঙ্কস রাহী। বাংলা ব্লগমন্ডলকে টার্গেট করে, সরলমনা ব্লগারদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণার এমন কৌশল অভাবনীয়। এ আসলে আমাদের সবার লজ্জা, সকল ব্লগারের লজ্জা।


১১. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩২
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: হা হা হা হা, আপনার উত্তর পড়ে মজা পেয়েছি! :#) আমার ফাউন্ডেশনের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই সেটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন।

যে রায় আমি সুশান্ত কিংবা আমার ব্লগ থুক্কু আমার ফাউন্ডেশন সম্পর্কে দিতে পারি, বিন্দুমাত্র পরিচয় ও ধারণা না থাকা সত্বেও আপনি অর্থাৎ ফিউশন ফাইভ সম্পর্কেও দিতে পারি। :) প্রমাণ ছাড়া আজ যদি কেউ এসে বলে ফিউশন ফাইভ চোর, আমি কি তার প্রতিবাদ করবো না? অবশ্যই করবো! এ কথাও বলবো, "খুব ভালো করেই জানেন ফিউশন ফাইভ কিংবা ...... এগুলো করবে না।"

:#)


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৯
লেখক বলেছেন: তাহলে আমি বলবো আপনি আবারও ভুল করছেন। আপনি কি জানেন, এই ফাউন্ডেশনের মূল যে উদ্যোক্তা, তার মূল ব্যবসা আদমপাচার? আপনি কি জানেন, এই ফাউন্ডেশনের মূল যে উদ্যোক্তা, তিনি লন্ডনে এমন এক 'মামা কলেজের' অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, যারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সরল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক প্রতারণা করে অর্থ আদায় করতো? আরো তথ্য হচ্ছে, লন্ডন পুলিশ সেই 'মামা কলেজ' কিছুদিন আগে বন্ধ করে দিয়েছে এবং উদ্যোক্তাদের খুঁজছে।

লন্ডনে আপনার যদি পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে সেই মূল উদ্যোক্তার নাম বলে তার সম্পর্কে জানুন। তারা হয়তো আরো চমকপ্রদ তথ্য আপনাকে দিতে পারবেন


১২. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৭
সামদ বলেছেন:

লেখক বলেছেন: লক্ষ্য করবেন, এই পোস্টে আমি কোনো ব্লগের নামই নিইনি। কারণ এই পোস্টের বিষয়বস্তুর সঙ্গে ব্লগকে অযাচিতভাবে টেনে আনা আমি যৌক্তিক মনে করিনি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এখানে ঝামেলা বা ইচ্ছাকৃত কটুক্তির কোনো কিছু নেই।


হা হা হা.....যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা.....সে যাই করে তার সবই ফাঁকা....। আপনি যদি সিনসিয়ারলি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারেন যে, সুশান্ত এর সাথে আপনার পুরনো ঝামেলার কারনে এই পোষ্ট নয় তাহলে আমি মেনে নিতে রাজি আছি।


প্রশ্ন আসলে অনেক। কিন্তু উত্তর পাওয়ার লোক নেই।.....বাংলাদেশ থেকে দান করা টাকাই বা কেন ইউকের ঠিকানায় পাঠাতে হবে?

প্রথমেই বলে নেই, আমি কিন্তু ঐ ফাউন্ডেশনের কেউ না...যাষ্ট আপনার পোষ্ট পড়ে কৌতুহল হয়েছে সেটা নিয়ে। তাই আপনার ভাষায় তাদের "দোষ" ঢাকার কোন প্রয়োজন অন্তত আমার নাই। ....তবে নানা বাংলাব্লগ পড়ি সেই ২০০৭ সালের থেকে ... তাই মোটামুটি পরিচিত ব্লগারদের বন্ধু/ শত্রু কারা এটা নিয়ে মোটাদাগে একটা আইডিয়া আছে। :)


আপনার পোষ্টের পর আমারব্লগে গিয়ে দেখলাম বর্তমানে ষ্টিকি করা পোষ্ট আপনার এই পোষ্ট রিলেটেড, অর্থাৎ আলোচ্য ফাউন্ডেশন নিয়ে।


আমার ফাউন্ডেসন প্রকল্প-১: জয়নাল ও লালবানুর স্বপ্নযাত্রায় আমাদের দুই পয়সা


সেখানে খুব পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে যে কেউ টাকা পাঠাতে চাইলে ইউকে তে টাকা পাঠানোর দরকার নাই (যেটা আপনি পোষ্টে বলছেন)।
। সেখানে থেকে তুলে দিলাম-


৩) বাংলাদেশে আমার ফাউন্ডেসন এর দায়িত্বে আছে ব্লগার মুরব্বী[sohell.kazi@gmail.com] ও মাহমুদুল হাসান রুবেল [rubel.aries@gmail.com]। কেউ বাংলাদেশে কন্ট্রিবিউট করতে চাইলে এই ব্লগারদ্বয়ের সাথে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো। অথবা নিম্নোক্ত একাউন্টে জমা দিয়ে রুবেল কিংবা মুরব্বী'কে জানিয়ে দিবেন।

A/c Name : Mahmudul Hasan
A/c no. 18-3094782-01
Standard Chartered Bank Ltd.

■ এছাড়া দেখা যাচ্ছে যারা টাকা দিয়েছেন (পেপালের মাধ্যমে বা অন্যভাবে) তাদের একটা লিষ্টও রাখা আছে ঐ পোষ্টে। তারমানে খুব সম্ভবত আপাতদৃষ্টিতে তারা স্বচ্ছতা রাখতে চাচ্ছেন। আপনার কাছে হয়ত এর বাইরেও তথ্য আছে যে কেউ কেউ টাকা দিয়েছেন কিন্ত নাম সেখানে তোলা হয়নাই (টাকা মেরে দেয়ার জন্য) - সেগুলো আমাদের জানান.... আমরাও জানি আপনার কাছে থেকে। আমরাও নিন্দায় শরিক হই। কিন্তু ভাই, কেউ যদি দুই নাম্বারী না করে তাহলে কি চাইলেই প্রপাগান্ডার মাধ্যমে বদনাম লাগে লেপ্টে দেয়া যায়? এমন মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে?

ধন্যবাদ।


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৬
লেখক বলেছেন: পুরনো ঝামেলা?
মোটেও নয়। যদি তাই হতো, আমি তার তথাকথিত রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য কর্মকান্ডের সমালোচনা করতাম। কিন্তু যেহেতু এখন যদি ওগুলো নিয়ে অর্থসংগ্রহের কোনো তৎপরতা দেখিনি, সেজন্য সমালোচনা করারও কোনো দরকার দেখিনি।

আপনি দাবি করছেন, "সেখানে খুব পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে যে কেউ টাকা পাঠাতে চাইলে ইউকে তে টাকা পাঠানোর দরকার নাই (যেটা আপনি পোষ্টে বলছেন)।। সেখানে থেকে তুলে দিলাম- ৩) বাংলাদেশে আমার ফাউন্ডেসন এর দায়িত্বে আছে ব্লগার মুরব্বী[sohell.kazi@gmail.com] ও মাহমুদুল হাসান রুবেল [rubel.aries@gmail.com]। কেউ বাংলাদেশে কন্ট্রিবিউট করতে চাইলে এই ব্লগারদ্বয়ের সাথে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো। অথবা নিম্নোক্ত একাউন্টে জমা দিয়ে রুবেল কিংবা মুরব্বী'কে জানিয়ে দিবেন।"

খুবই হাস্যকর এবং খুবই সন্দেহজনক ব্যাখ্যা। বাংলাদেশে আমার ফাউন্ডেশন সংস্থাটির দায়িত্বে যারা আছে, তারা কারা? কী তাদের পরিচয়? এই দায়িত্বই বা তাদের কে দিল? তারা কি ওই সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য? যদি হয়েই থাকে, উপযুক্ত কাগজপত্র কোথায়? এইভাবে বাংলাদেশ থেকে টাকা সংগ্রহ বৈধ কিনা, বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা এনজিও ব্যুরোর যথার্থ অনুমোদন আছে কিনা - সেটা তো আরো বড়ো ও গুরুতর একটা প্রশ্ন। আর আপনি কিনা দাবি করলেন - "সেখানে খুব পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে..."। হাহাহাহা!

এছাড়া দেখা যাচ্ছে যারা টাকা দিয়েছেন (পেপালের মাধ্যমে বা অন্যভাবে) তাদের একটা লিষ্টও রাখা আছে ঐ পোষ্টে। তারমানে খুব সম্ভবত আপাতদৃষ্টিতে তারা স্বচ্ছতা রাখতে চাচ্ছেন।

কোথায় কী লিস্ট - সেটা কোনো স্বচ্ছতা নয়। বরং সেটা একটা অভিনব কৌশল। লিস্ট মানে কিছু ভার্চুয়াল নাম - আসলও হতে পারে, নকলও হতে পারে। বরং আপনি দেখবেন, লিস্ট বড়ো করে দেখিয়ে অন্যকে প্রলুব্ধ করার একটা চাতুর্য ওই পোস্টেই আছে। সেখানে দেখবেন টেকশেড নামে একটি এন্ট্রি দেখাচ্ছে। ওটা আসলে ফাউন্ডেশনের মূল উদ্যোক্তা সুশান্ত দাশগুপ্তের নিজের একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। প্রমাণ চান? দেখুন ফাউন্ডেশন আর টেকশেডের ঠিকানা একই - http://techshed.com/


১৩. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৯
রায়হান রাহী বলেছেন: রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন:প্রমাণ ছাড়া আজ যদি কেউ এসে বলে ফিউশন ফাইভ চোর, আমি কি তার প্রতিবাদ করবো না? অবশ্যই করবো!

তাহলে তারেক জিয়াকে কোন সুত্রে তোমরা চোর বল? তার চুরি কোথায় প্রমানিত??


১৪. ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৪০
অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: মনের সব কথা লিখে দিসেন বস....

ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটা...।


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:০২
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজা! ব্লগ আর ব্লগারদের স্বার্থেই চোখ কান খোলা দরকার।


১৫. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২০
সবাক বলেছেন: সেরেছে! পোস্টতো দেখি এবার তারেক জিয়াকে বাঁচানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। B:-)

লন্ডনভিত্তিক নিবন্ধন নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে পারলে ভালো হতো। তবে কোন খারাপ ঘটনা ঘটার আগে উক্ত ফাউন্ডেশন নিয়ে তীর্যক কিছু বলতে পারছি না। (আশাকরি ঘটবে না)

তবে, আগামী নির্বাচনের আগে অন্তত চা সিগারেটের অর্থ সংগ্রহের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ;)


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:১০
লেখক বলেছেন: মরিবার আগেই রোগীর চিকিৎসা দরকার। মরিবার পর অথবা 'কোন খারাপ ঘটনা ঘটার' পর ডাক্তার আসিয়া কী করিবে? ঠিকানা তো আর বঙ্গদেশে নহে!


১৬. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৬
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: আমরা কেউই চাইনা বাংলা ব্লগের নাম খারাপ হউক।


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:৩৪
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, সে কারণেই যারা এইসব অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের কাছে একটিই অনুরোধ - মাত্রই হাঁটতে শেখা বাংলাব্লগের ওপর কালো কালি লেপ্টে দেবেন না দয়া করে।


১৭. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৩
সামদ বলেছেন: @ফিফা,



লেখক বলেছেন: আপনি দাবি করছেন, "সেখানে খুব পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে যে কেউ টাকা পাঠাতে চাইলে ইউকে তে টাকা পাঠানোর দরকার নাই (যেটা আপনি পোষ্টে বলছেন)


আমি কোথায় নিজে থেকে দাবি করলাম, জনাব ফিফা? আমি আপনার এই পোষ্ট পড়ার পরে আমারব্লগে গিয়ে তাদের স্টিকি পোষ্টে যা পাওয়া গেল তা কপি করে দিয়েছি। এখন এই ব্যখ্যা যারা দিয়েছে তারা ডিটেইলস জানে। সেখানে দাতাদের লিষ্টের নিকগুলো/মানুষগুলো কতটুকু জেনুইন সেটা সে ব্লগের লোকজনই বলতে পারবে। আমরা যারা সে কর্মকান্ডে কোনভাবেই নাই, তাই অন্যব্লগে দেয়া দাতাদের একটা লিষ্ট কে বিশ্বাস করব বা করব না সেটা আমাদের প্রত্যেকের নিজের ব্যপার।

আপনি বললেন যে টাকা ইউকে তে পাঠাতে হবে, দেখা গেল সেটা সত্যি না। এখন আবার প্রসংগ পাল্টাচ্ছেন। নিজের ভুল স্বীকার করতে তো ভাই দেখি আপনার খুবই সমস্যা। এমন মানসিকতা হলে কিভাবে চলে? :)

■ মুল পোষ্টের শিরোনামে দিয়ে রেখেছেন বাংলাব্লগের কথা আবার পোষ্টের কমেন্টে সে বিষয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। ভালো মজা তো। :)



বাংলাব্লগকে আশ্রয় করে এবার মানি লন্ডারিং কিংবা হুন্ডি ব্যবসার কালো ছায়া


যাই হোক আজকে নেট থেকে লগআউট করতে হচ্ছে। ভালো থাকবেন। :)

==========================================

@সবাক,


সেরেছে! পোস্টতো দেখি এবার তারেক জিয়াকে বাঁচানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।


কি বলেন এইসব? তারেক জিয়ার মত ভালো মানুষ আর হয়? কোকো আরো ভালু ছেলে। আমেরিকার এফবিআই আর সিংগাপুরী সরকার আসলে ভালো মানুষ চিনতে ভূল করেছে:)

এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটে কোকোর ঘুষ কেলেঙ্কারি

http://www.fbi.gov/washingtondc/press-releases/2009/wfo010909.htm

Singapore freezes Tk 11.6 cr of Koko: ACC begins probe

আর তারেক জিয়া লন্ডনে কোন আয় না করেই যে কোটি টাকা দামের গাড়িতে চড়ে,আলিশান বাড়িতে থাকে, ফিলিপিনো কাজের লোক রাখে এগুলো সবই জ্বীনপরীদের দান, উনি কিন্তু কিছুই চুরি করেন নাই। হ।



০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:৩৫
লেখক বলেছেন: "সেখানে খুব পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে যে...' - এই বাণীটি/দাবিটি আপনার নিজের। তাই নয় কি? নাকি এইটাও ওই পোস্ট থেকে কোট করে এনেছিলেন?

আপনি তাদের প্রথম পোস্টটি দেখুন। সেখানে বাংলাদেশে টাকা দেওয়া-নেওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। পরে যেহেতু সাড়া পাওয়া যায়নি, তারা মাত্র গত সপ্তাহে অজ্ঞাতপরিচয় এক বাংলাদেশীর একটি ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে। আপনি যে সরলভাবে বিশ্বাস করে আছেন, টাকা বাংলাদেশেও জমা দেওয়া যাবে - সেটা নিতান্তই আপনার অজ্ঞানতা। ইউকেতে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া কি বৈধ? সেখানে কোন্ যুক্তিতে কেউ টাকা জমা দেবে? দিলেও সেটা কি আইনবহির্ভূত কাজ নয়? আমার মাথায় আসছে না, এইসব বলাটা কিভাবে প্রসঙ্গ পাল্টানো হল?

বাংলা ব্লগমণ্ডল এক জিনিস, আর ইনিয়ে-বিনিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ব্লগের প্রসঙ্গ রশি দিয়ে টেনে টেনে আনা আরেক জিনিস। দুটোর পার্থক্য আপনাকে বুঝতে হবে, বুঝতে না পারলে অন্যের সাহায্য নিতে হবে।


১৮. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যে কোন ব্যাপারে সন্দেহ করাই যায়, তবে সে সন্দেহ সত্য প্রমানিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া বা উপসংহার টেনে একটা নেগেটিব বক্তব্য জনসম্মুখে উপস্হাপন করাটা কতটা যৌক্তিক এবং স্বচ্ছ ,সেটা একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ।

আপনে আপনার লেখার মাধ্যমে সেটাই করতে চেয়েছেন বলে মনে হল -

প্রথম থেকেই এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপের কোথাও তাদের উদ্দেশ্য অনলাইন প্রতারণা মানি লন্ডারিং কিংবা হুন্ডি ব্যবসা এর কোনটাই মনে হয় নি। সব সময়ই মনে হয়েছে তারা ভাল কিছু একটা করতে যাচ্ছে । তাই হয়ত চতুরে এ নিয়ে মুরর্ব্বীর পোষ্ট পড়ার সাথে সাথে ডোনেশন পাঠিয়েছিলাম এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবার ইচ্ছে আছে ।

আমার কমেন্ট পড়ে ভাবতে পারেন আমি হয়ত তাদের লোক :) অনেষ্টলি স্পিকিং তাদের কাউকেই ব্যাক্তিগতভাবে আমি চিনি না - এমন কি তাদের সাথে ব্লগিংও করিনা - তারা আমার নাম ছাড়া আর কিছু জানেন বলে মনে হয় না। তবে সুশাস্ত দা আমার এফবি ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন।

আজমান আন্দালিব কিংবা রুকসানা তাজিন হউক - সুশাস্ত কিংবা মাহমুদ হউক অথবা আপনি হউন যে কোন ভাল কাজে পাশে ছিলাম এবং থাকার চেষ্টা করবো সাধ্যমত ।

ভাল থাকুন সবসময়


০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪৩
লেখক বলেছেন: রোগী মরার আগেই চিকিৎসা দরকার। রোগী মরার পরে কিংবা 'সন্দেহ সত্য প্রমানিত' হওয়ার পরে ডাক্তার ডেকে কিংবা পুলিশে জানিয়ে কী লাভ? আপনি ডোনেশন দিয়েছেন, সেটা আপনার মহানুভবতা। ওই টাকা মার গেলে হয়তো আপনার কিছু যায়-আসবে না। কিন্তু অনেকেরই যায়-আসবে।

ফাউন্ডেশনের তৎপরতাকে সন্দেহ করার যৌক্তিক কারণ যথেষ্টই আছে। বলা হচ্ছে, এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জনসেবামূলক কাজ করবে। তাহলে তার ঠিকানা ইউকের কেন? সেটা ইউকেতেই কেন নিবন্ধিত হল? কেন বাংলাদেশে ওই ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হল না? বাংলাদেশ থেকে দান করা টাকাই বা কেন ইউকের ঠিকানায় পাঠাতে হবে? অর্থসাহায্য চেয়ে যে পেপ্যাল একাউন্ট খোলা হয়েছে, তার স্বত্ত্বাধিকারী তো কোনো সংস্থা নয়, একজন মাত্র ব্যক্তি। কে সে? কী তার পরিচয়? ওই ফাউন্ডেশনে কারা আছে নেপথ্যে, আমরা কেউ জানি না। ট্রাস্টি হিসেবে সুশান্ত দাশগুপ্ত ছাড়া কামরুল হাসান এবং রবিউল আলম নামের দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নাম দেখা যাচ্ছে। তারা কারা, আমরা জানি না। প্রশ্ন আসলে অনেক। কিন্তু উত্তর পাওয়ার লোক নেই। সুশান্ত দাশগুপ্ত নামের এক ভদ্রলোক তার স্বাক্ষরে একটা কনস্টিটিউশন তৈরি করেছেন বটে, কিন্তু সেটা বরং আরো গোলমেলে। সেটা উল্টো আরো নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।

তাছাড়া আপনি কি জানেন, এই ফাউন্ডেশনের মূল যে উদ্যোক্তা, তার মূল ব্যবসা আদমপাচার? আপনি কি জানেন, এই ফাউন্ডেশনের মূল যে উদ্যোক্তা, তিনি লন্ডনে এমন এক 'মামা কলেজের' অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, যারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সরল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক প্রতারণা করে অর্থ আদায় করতো? আরো তথ্য হচ্ছে, লন্ডন পুলিশ সেই 'মামা কলেজ' কিছুদিন আগে বন্ধ করে দিয়েছে এবং উদ্যোক্তাদের খুঁজছে। লন্ডনে আপনার যদি পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে সেই মূল উদ্যোক্তার নাম বলে তার সম্পর্কে জানুন। তারা হয়তো আরো চমকপ্রদ তথ্য আপনাকে দিতে পারবেন। তার আগ পর্যন্ত এইরকম ডোনেশন বিতরণ করতে থাকুন।

এখানে আরো একটা বিষয়। এই ধরনের প্রতারণামূলক কাজের যে ধারা, তাতে দেখা যায় এরা প্রথমে দু একটি খুব ভালো কাজ করে এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বাসটা জন্মায়। কাহিনি শুরু হয় মূলত এরপর।


১৯. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৩
ধূসরধ্রুব বলেছেন: এমনে কইরা বাঁশ দিলেন । খিক খিকজ্জ B-) B-) B-) B-) B-)

বলা হচ্ছে, এই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জনসেবামূলক কাজ করবে। তাহলে তার ঠিকানা ইউকের কেন? সেটা ইউকেতেই কেন নিবন্ধিত হল? কেন বাংলাদেশে ওই ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হল না?

আমার ফাউন্ডেশনের কাছে এই অংশটুকুর জবাব চাই


২০. ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ২:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি জানেন, এই ফাউন্ডেশনের মূল যে উদ্যোক্তা, তার মূল ব্যবসা আদমপাচার?

মূল উদ্যক্তা কে? আমারব্লগের সুশান্ত নাকি তার পিছনেও অন্য কেউ আছে?


২১. ০১ লা জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৫২
নূহান বলেছেন: নেদারল্যান্ড কেমন লাগে আপনার? নেদারল্যান্ডে এসাইলাম চাওয়ার ইচ্ছে কি এখনো আছে?

আর আপনার ছোট ভাই রাজীব তো শুনছি কালেরকন্ঠে জয়েন করছে সুইডেন থেকে ফিরে। তাই না?

জানা আরিলের কাছ থেকে বেশ পেমেন্ট পাইছেন এই পোস্ট দেওয়ার জন্য বুঝাই যায়। ভালো চালাইয়া যান। হঠাত দেখবেন চোখে অন্ধকার।


২২. ০১ লা জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
আরিল বলেছেন: this post has been reported through email to me and jana by sushanta das gupta after midnight. at the moment jana is offline with her sick maa and i cant really go through the full post. my immediate comment to the post author is that it is not right to accuse anyone of illegal activities without providing a full evidence supporting this.

however, it seems that this post has touched upon something very serious, because the email i myself and jana received from sushanta was totally unexpected and unacceptable. this is not the first time we have received threats, we normally just ignore such. however this time, considering the subject, the allegations and the resulting threats from a well known bangla blog entrepreneur, i feel it is time that the bangla bloggers address this issue to ensure that the bangla blogosphere remains free and independent. i have chosen to publish the full mail below:




২৩. ০১ লা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
কনফিউজ বলেছেন: ভায়ের দ্যাখি মেলা গেন ! আপনারে তো ঠ্যাং ধইরা ছেলাম কর্তে মুঞ্চাইতেছে । আমুর পুরাণ ব্লগাররা কুনু সন্দ কর্ল না আপ্নে তা ধৈরালাইলেন !!


২৪. ০১ লা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
লেখক বলেছেন: শুরুতে দু একটা মানবতামূলক কাজ করে পরে অর্থ নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা কি খুব কম এই বাংলাদেশে? আসলেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত শুরুতেই। পরে যখন কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে, তখন আর ব্যবস্থা নিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ এই সংস্থার ঠিকানা ইউ,কেতে।
এ বিষয়ে ভালো ভাবেই প্রচারনা চালানো উচিত।

সুশান্ত দাস গুপ্তর মেইল দিয়ে হুমকি ( i shall be bound to teach you) , সবকিছুকে পরিস্কার করে দিচ্ছে মনে হয়।

তবে জানতে হবে আরো ।

0 Comments

Add Yours