নয় দিনের মাথায় আবার র‌্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকড হল। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় দফা হ্যাকিংয়ের শিকার হল র‌্যাবের ওয়েবসাইট। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তা-দুর্বলতা যে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে- এ ঘটনার পর আর হিসেব করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

র‌্যাব গতবারের মতো বোকামি এবার আর করেনি। হ্যাকিংয়ের পরপরই দ্রুত নিজেদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এবার আমরা আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ্য রাখছি, র‌্যাব গোয়েন্দা আর তাদের আইটি উইং কতোটা বুদ্ধিমান? কতো দ্রুত তাদের সাইট উদ্ধার করতে পারে একটু দেখি!

গতবারের হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর র‌্যাবের স্পর্শকাতর ডাটাবেজটি পুনরুদ্ধার করা হয় কোনোমতে। তবে এই দফা হ্যাকিংয়ের পর ডাটাবেজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটের সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে দেওয়া আমার পোস্টেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে, শাহী মির্জার গ্রেপ্তারের ঘটনায় হ্যাকাররা দমে যাবে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে যাবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না। আন্ডারগ্রাউন্ড সাইটগুলোতে এ ঘটনা ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। বিদেশের অনেক হ্যাকারই এ ঘটনা সবিস্তারে জেনেছে। অনলাইন ডিসকাশনে কোনো কোনো বিদেশী হ্যাকারের অংশগ্রহণ থেকে এটা বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সাইট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ডাকসাইটে বিদেশী হ্যাকাররা যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা চালায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

সংক্ষিপ্ত হ্যাকপঞ্জি
১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ : র‌্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র‌্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ : র‌্যাব ওয়েবসাইট হ্যাকড।

প্রথম প্রকাশ  |  দ্বিতীয় প্রকাশ

0 Comments

Add Yours