অনেকেই জানেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতারণাটি করছে একটেল। এদের যে কী রকম নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা, ব্যবহার না করলে বোঝার উপায় নেই। মাসে ৩০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ১০ দিন, অনেক সময় তারও বেশি সময় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকছে নিয়ম করে। অথচ বকেয়া বিলের জন্য মিনিটে মিনিটে এসএমএস, প্রতি চারদিন পর পর সুকণ্ঠীর (ভুটকিই হবে!) ফোন- 'স্যার, আপনার বিল হয়েছে এতো টাকা...অতো পয়সা।' কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিসের নামে এই যে এতো এতো টাকা প্রতি মাসে নেওয়া হচ্ছে, সেটা বন্ধ থাকলে এসএমএস তো দূরের কথা, আপনি এমনকি অভিযোগও জানাতে পারবেন না। অভিযোগ জানানোর জন্য যে নম্বরটি (১২৩) আছে, সেখানে কল করলে প্রতিদিনই একই অবস্থা। কি রাত কি দিন সবসময়ই নাকি এদের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভরা বিজি থাকে। ওই নম্বরে ফোন করলে তিন দফায় দীর্ঘ নির্দেশনা শোনার পর কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় কন্ঠে শোনা যায় 'দুঃখিত, এই মুহূর্তে আমাদের সকল কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ ব্যস্ত আছেন! আপনাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে ছয় মিনিট ২০ সেকেন্ড।' আমি একজনের কাছ থেকে জেনেছি, এই সময় প্রতি মিনিটে আড়াই টাকা করে চার্জ কাটা যায়। অবাক করার বিষয় হচ্ছে এই তথাকথিত ব্যস্ততা সবসময়ই আছে, যখনই ওই নম্বরে ফোন করি। হস্তমৈথুন ছাড়া এইসব কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের ব্যস্ততার অন্য কোনো কারণ তো দেখি না। গ্রামীণফোনের পর পর খালি মাঠে দীর্ঘদিন থাকার পরও একটেল ক্রমাগত পিছনের দিকে হেঁটেছে। বরং অনেক পরে এসে এগিয়ে গেছে বাংলালিংক। জনতার বিচার আসলেই আলাদা জিনিস।
কিছুদিন আগে জেনেছি, একটেলের ইন্টারনেট সার্ভিসের গ্রাহক তেমন নেই। দিনের পর দিন নিম্নমানের সেবা আর প্রতারণা যে কোম্পানির অর্থ আয়ের উৎস, তার গ্রাহক থাকার কথা নয়। আমার মতো আরো কেউ কেউ আছেন, যারা এইসব প্রতারক মোবাইল কোম্পানির ফাঁদে পড়ে যায়। সকলের প্রতি অনুরোধ, প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করাই বাদ দিন, তবুও একটেলের ইন্টারনেট সেবার ফাঁদে পড়বেন না।
খাঙ্ক ইর্পো!
ভারতীয় মালয়ালাম ভাষার একটি সুসম্ভাষণ
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): একটেল, ইন্টারনেট, মোবাইল, aktel, internet, mobile company ;
প্রথম প্রকাশ
0 Comments
Add Yours